dailykolomkotha ছবি | দৈনিক কলম কথা


এম.ডি.জিলহজ খান | কুষ্টিয়া: চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই মার্কেট, শপিংমলে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। বিক্রেতারা বলছেন, গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় মার্কেটগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি কম। মাস্ক পরলেও মানা হচ্ছে না অন্য স্বাস্থ্যবিধি।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে দোকানপাট খোলা রাখার সুযোগে কুষ্টিয়ার ফুটপাতেও বসেছে দোকান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভিড় বাড়তে থাকলেও, নিশ্চিত করা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

বড় মার্কেট এবং শপিংমলে ভিড় কম থাকায় সেখানে করোনা ঝুঁকি কিছুটা কম বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। তবে গেল বার বড় বড় শপিংমল গুলোর প্রবেশদ্বারে জীবানুনাশক চেম্বার ও তাপমাপার যন্ত্র থাকলেও এবার তা দেখা যায়নি।

ক্রেতারা বলছেন, পরিবারের শিশু সদস্যদের আবদার মেটাতেই ঝুঁকি জেনেও কেনাকাটা করতে হচ্ছে তাদের। তারা বলেন, গত ঈদে কিছু কেনা হয়নি তাই এবার ওদের জন্য কিছু কেনাকাটার জন্যই বের হয়েছি।

এদিকে, ঈদ মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা। তাই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের দাবি তাদের। বিক্রেতারা বলেন, আমরা দোকান পাট খোলা রাখলেও তেমন কাস্টমার পাচ্ছি না। গাড়ি না চলায় কাস্টমার আসতে পারছে না।

ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কঠোর বিধিনিষেধেও সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে মানুষের স্বাভাবিকভাবে চলাচল শহরজুড়ে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা শপিং মল থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানপাটে মানুষের জনসমাগম সকাল থেকে। এছাড়া শহরের ফুটপাতের রাস্তাগুলোতে বেচা বিক্রি হচ্ছে সামনে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ঈদের পোশাক।

এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট গুলো খোলা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে দেখা গিয়েছে আগের মতই জনসমাগম তবে সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই দেখা যায়নি এরই মধ্য দিয়ে চলছে ঈদের কেনাকাটা কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

তবে এন এস রোডের কয়েকজন মার্কেট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা রোজার ঈদ এবং কুরবানীর ঈদের ব্যবসা করে সারাবছর চালাই গতবারের লকডাউন তারা তেমনভাবে বিক্রি করতে না পারায় হতাশাগ্রস্থ। তবে এবারে ১১ রোজা চলে গেছে লকডাউনেই তবে এরই মধ্যে তারা কিছুটা হলে ও ব্যবসা ধরিয়ে রেখে রমজানে মার্কেট খোলা রেখে পোষিয়ে নিতে চাই গতবারের ব্যাবসা।