পিরিয়ড কী? প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। একজন নারীর পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। আরেকটু সহজ ভাষায় বললে, আমরা শুধু জানি বাচ্চা হওয়ার জন্য পিরিয়ড হয়।

  • একটি স্যানিটারি প্যাড ৪-৬ ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করবেন না। বেশিক্ষণ ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড ব্যাকটেরিয়ার আঁতুরঘরে পরিণত হয়। একইসঙ্গে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে ও ত্বকে ফুসকুড়ি ও টিএসএস (টক্সিক শক সিনড্রোম) হতে পারে।
  • এ সময় চিপস কিংবা নোনতা খাবার খাবেন না। এমনিতেই মাসিকের সময় শরীর বেশ ভারী লাগে। তার উপর এসব খেলে শরীরে পানি জমতে পারে।
    মাসিক চলাকালীন রাত জাগবেন না। এতে শরীর আরও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে। একইসঙ্গে ঋতুস্রাবজনিত অস্বস্তিও বাড়তে পারে।
  • মাসিক চলাকালীন ভুলেও ওয়াক্স করবেন না। এ সময় শরীরের মতো ত্বকও হয়ে পড়ে অনেক সংবেদনশীল। তাই ওয়াক্স করালে বেশি ব্যাথা পেতে পারেন।
  • এ সময় দই, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকসহ কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে।
  • এ সময় অতিরিক্ত কফি খাবেন না। উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন পেটে ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • স্যানিটারি প্যাড বা ম্যানস্ট্রুয়াল কাপ ছাড়া ঘুমাবেন না। যদি প্যাড পরে শুতে অস্বস্তি হয় তাহলে আরামদায়ক প্যাড ব্যবহার করুন
  • ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক জানলেও অনেকেই মানেন না। তবে মাসিকের সময় ধূমপান করলে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • মাসিকের কারণে আবার শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। বরং মাসিকের সময় শরীরচর্চা করলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
  • এ সময় ভুলেও দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। যেহেতু মাসিকের সময় শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।