বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় বিএনপি ‘হতাশ ও ক্ষুদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন যথেষ্ঠ ঝুঁকির সম্মুখীন। তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিএনপি। এর আগে রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের আবেদন মঞ্জুর করতে পারছি না। গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তার বাসভবন ফিরোজায় আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। পরে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তবে খালেদা জিয়া আক্রান্ত হওয়ার ২৭ দিন পর তিনি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য শনিবার দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।