শুরুটা দারুণ করেও শেষ পর্যন্ত জয় পেলনা যুক্তরাষ্ট্র। অপর দিকে সব মলিনতা ঝেড়ে ফেলে বিরতির পর ভালো খেলেছে ওয়েলস। ঘর সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল দলটি, যদিও পারল না। শেষ দিকে গ্যারেথ বেলের গোলে মূল্যবান একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ওয়েলস। সেই ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর আবার বিশ্ব সেরার মঞ্চে ফেরাটা দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে বেশ হলো ওয়েলসের।

কয়েক প্রজন্মের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপে ফেরার ম্যাচের শুরুতেই নিজেদের ভুলে গোল খেতে বসেছিল ওয়েলস। যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড টিম ওয়েহ ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে। তাতে তেমন কোনো হুমকি ছিল না, কিন্তু হেডে ঠেকাতে গিয়ে আত্মঘাতী হতে বসেছিলেন জো রোডন। গোলরক্ষক সোজা বল যাওয়ায় সে যাত্রায় রক্ষা হয়।

তবে গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসি বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় আবার আক্রমণ শাণায় যুক্তরাষ্ট্র। দুরূহ কোণ থেকে জশ সার্জেন্টের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। খেলার ৩৬তম মিনিটে তারা পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোলও। ডিবক্সে দারুণ থ্রু বল বাড়ান চেলসির মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান পুলিসিক আর প্রথম ছোঁয়ায় সাইড ফুট শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লিলের ফরোয়ার্ড ওয়েহ।

বিরতির পর তেতে ওঠে ওয়েলস। খেলতে থাকে উজ্জীবিত ফুটবল। তাদের আক্রমণগুলো নিখুঁত না হলেও প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখে ঠিকই।
৬৪তম মিনিটে সমতা টানার দারুণ সুযোগ আসে তাদের সামনে। ডান দিক থেকে ডি-বক্সে উড়ে আসা বল ডাইভিং হেড নেন বেন ডেভিস, কোনোমতে এক হাত দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান ম্যাট টার্নার। ওই কর্নারেই কিফার মুরের হেড ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

তাদের টানা প্রচেষ্টার ফল মেলে ৮২তম মিনিটে। সফল স্পট কিকে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান বেল। ডিবক্সে তিনি নিজেই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় ওয়েলস। ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন গোলরক্ষক টার্নার, কিন্তু বুলেট গতির শটের জবাব ছিল না তার।

৭ মিনিট পর জয়সূচক গোলের দেখাও পেতে পারতো তারা। প্রতি-আক্রমণে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রেনান জনসন। কিন্তু কাছাকাছি কোনো সতীর্থের দেখা না পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন তিনি। এমন সুবর্ণ সুযোগ হারানোর হতাশা দিন শেষে আরও বড় হয়ে ওঠে। জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও যে ইতিহাস গড়তে পারল না ওয়েলস। রোববার শুরু হওয়া কাতার বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো ম্যাচ ড্র হলো। আগের তিনটি ম্যাচই খুঁজে পেয়েছে বিজয়ী।