শিগগিরই ইরান দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন এক শীর্ষ তালেবান নেতা। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা আব্দুলহামিদ খোরাসানি ওরফে নাসের বদরি রোববার (২৮ মে) এই হুমকি দেন। ইরানি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল এবং ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার ইরান-আফগানিস্তান সীমান্তে বিতর্কিত জলসীমা নিয়ে তালেবান এবং ইরানি বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হওয়ার পর তালেবানের তরফ থেকে এ হুমকি দেয়া হয়।
তালেবানের প্রকাশ করা এক ভিডিও থেকে দেখা যায়, আব্দুলহামিদ খোরাসানি ওরফে নাসের বদরি বলছেন, তালেবানরা যে জোশের সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছে তারচেয়েও বেশি জোশ নিয়ে লড়াই করবে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে। তিনি আরও বলেছেন, ‘তালেবান নেতৃত্ব সবুজ বার্তা দিলেই তালেবান যোদ্ধারা শিগগিরই ইরান দখল করে নেবে।’
তালেবানের প্রকাশ করা অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায় তাতে ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ রঙের একটি বড় পাত্রে পানি ভরছেন এক তালেবান এবং ব্যাঙ্গ করে বলছেন, ‘জনাব রাইসি, এই যে, পানির পাত্র। এটি নিয়ে যান, তাও আমাদের আক্রমণ করবেন না। আমরা খুব ভয় পেয়েছি!’ এর আগে, রোববার ইরান-আফগানিস্তান সীমান্ত এলাকায় ইরানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলিতে দুজন ইরানি সীমান্তরক্ষী ও একজন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়।
কী কারণে উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর মাঝে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে পানির অধিকার নিয়ে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই সীমান্তে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
ইরান অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ সীমিত করে ১৯৭৩ সালের পানিচুক্তি লঙ্ঘন করছে। শুষ্ক মৌসুমে হেলমান্দ নদীর পানি ব্যবহার করে ইরানের উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদ করা হলেও তালেবানের পদক্ষেপের কারণে তা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও ইরানের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তালেবান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।