নিজস্ব প্রতিনিধি।।
যশোর মণিরামপুরে শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুজিবর রহমান ও রুমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলার দক্ষিণ লাউড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের স্ত্রী ভূক্তভোগী রুমা আক্তার বাদী হয়ে শনিবার রাতে মণিরামপুর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- সন্দুলপুর গ্রামের ইউছুফ গাজীর ছেলে আমিনুর রহমান জিকু, মাঝ লাউড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আসাদুজ্জামান ও নিতাই চন্দ্র পালের ছেলে নারায়ন চন্দ্র পাল। নাম প্রকাশ করতে অনইচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন নারায়ন চন্দ্র পাল এবার মেম্বার প্রার্থী বিধায় বর্তমান মেম্বার কে নাজেহাল করতে তারা এমন জঘন্য কৌশলে নেমেছে। এছাড়াও এর আগেও ব্রাকেট এক মহিলাকে অপহরণ সহ ডাকাতি ছিন্তায়ের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
রুমার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারী উপজেলার সুন্দলপুর আগরহাটি মহিলা আলিম মাদ্রাসায় জনৈক ইউপি সদস্য মুজিবর রহমানের নিকট গৃহবধূ রুমা আক্তার নাগরিক সনদপত্র নিতে যায়। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আসামী আমিনুর রহমান জিকু, আসাদুজ্জামান ও নারায়ন চন্দ্র পাল ভূক্তভোগী রুমা আক্তারের পথরোধ করিয়া অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে। সে প্রতিবাদ করিলে আমিনুর রহমান জিকু তার হাত ধরিয়া টানা হেঁচড়া করিয়া মাদ্রাসার রুমের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং চাঁদা দাবি করে। রুমা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে ও ইউপি সদস্য মুজিবরের সাথে অশ্লীল ছবি তুলে নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলিয়া যায়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ভূক্তভোগী রুমা খাতুন বলেন আমি বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছি, যদি মনিরামপুর থানা আমাকে সহযোগিতা না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা পথ বেছে নিব। এলাকায় এই সব আসামীরা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে সাতে জড়িত থাকার প্রমাণ ও পাওয়া যায়।
ভূক্তভোগী রুমা খাতুন আরো বলেন, গত ৬/৭ মাস পূর্ব হইতে আমিনুর রহমান জিকু, আসাদুজ্জামান ও নারায়ন চন্দ্র পাল বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। সম্প্রতি মুজিবর মেম্বারে কাছে নাগরিক সনদ আনতে গেলে জিকুরা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করায় মেম্বারের সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে অপপ্রচার চালাবে বলেও হুমকি দেয়। আমি এর বিচার চাই।
এব্যাপারে নারায়ণ চন্দ্র পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমিনুর রহমান জিকুকে ফোন ধরিয়ে দেয়। তবে জিকু কিছু ভিত্তিহীন মনগড়া কথা বললেও মুজিব মেম্বর ও রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে কোন অনৈতিক কাজের প্রামাণ গণমাধ্যমেকে দিতে পারেনি।