শেখ এনামুল | জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মহম্মদপুরের পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক হাসিবুল হোসেন তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারা হলেন মাগুরা- মহম্মদুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়ন এর বিল্লপাড়ার সাইফুল জোয়ার্দার (৪৬), তাইব বিশ্বাস (৫০),ওসমান বিশ্বাস (৪৫),আকরাম বিশ্বাস (২৬),করিম বিশ্বাস (৫০), এবং গোলাম আজম (৩৮),
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফাত আরা টুম্পা বলেন, সাইফুল জোয়ার্দার ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে লাবনী খাতুনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন। যার পিটিশন নম্বর ১৯৪/২০২০।
তিনি আরও বলেন, এতে মাগুরা সদরের বাসিন্দা লাবনীর স্বামী আফজাল হোসেন, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব,ছায়েম উদ্দিন চুন্নু সহ ৮ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ( পিবিআই)। তদন্তে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়,বিঙ্গ বিচারক ওই মামলা থেকে ৮ জনকে অব্যহতি দেন।
আদেশের পরে হয়রানি ও সম্মানহানির অভিযোগে হত্যা মামলার শিকার ছায়েম উদ্দিন চুন্নু একই আদালতে মামলা করে,মামলায় ওই পাঁচজনকে আসামি করেন,আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। আসামিরা সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।বিঙ্গ বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল সাইফুল জোয়ার্দার এর মেয়ে লাবনী খাতুনের সাথে মাগুরা সদরের বাহারবাগ গ্রামের গোলাম কুদ্দুসের ছেলে আফজাল এর বিয়ে হয়, গত ২৯ আগস্ট লাবনী খাতুন তার স্বামী আফজাল হোসেন এর উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।