আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে দিনে দিনে তামাক চাষ বেড়েই চলেছে। যেদিকে চোখ যায় শুধুই তামাকের ক্ষেত। অধিক লাভের আশায় জেলার কৃষকরা এখন ধানের জমিতে তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বিভিন্ন তামাকজাত কোম্পানিগুলো আগাম ঋণ প্রদানের কারণে তামাক চাষাবাদে মনোযোগী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এ কারণে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ধানের জমি। লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার যেদিকে চোখ যায় শুধুই তামাক ক্ষেত চোখে পড়ে।

চলতি বোরো মৌসুমে ধানের জমিতে ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হয়েছে। তামাকের চড়া মূল্য থাকায় কৃষকরা ধানের পরিবর্তে তামাক চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন তামাক কোম্পানির আর্থিক সহায়তা ও সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে তামাক ক্রয়ও নিয়মিত ক্ষেতের পরিচর্যায় কৃষকের পাশে থাকায় এ অঞ্চলে তামাক চাষ দিন দিন বাড়ছে।

ক্ষতিকারক তামাক চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিতে ও তামাকের ব্যাপকতা ছড়িয়ে দিতে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে তামাকের বড় বড় ক্রয়কেন্দ্র।
বড় বড় তামাক কোম্পানি কৃষকদের লোভনীয় অফার দিয়ে তামাক চাষে উৎসাহিত করছে। একটানা তামাক চাষ করায় জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে এ অঞ্চলে। এরপরও কৃষকরা কম খরচে অধিক মুনাফার আশায় এ অঞ্চল জুড়ে বেড়েই চলেছে তামাকের আবাদ।

এ বছর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১হাজর দশ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, তামাক কোম্পানিগুলো সহজ ঋণ ও ধানের দাম কম হওয়ায় কারণে তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছেন তারা। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন বলেন, আমরা তাদের তালিকা তৈরি করে তাদের মাঝখানে কৃষি প্রণোদনা পুনর্বাসনের বীজ সার আছে এগুলো বিতরণ করেছি। আমাদের তাদেরকে অন্যান্য কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করার।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনার কারণে তামাকসেবন বা এর ব্যবহার শারীরিকভাবে ক্ষতিকারক বিধায় তামাক চাষে বরাবরের মতো কৃষকদের নিরৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিগুলো কৃষকদের নানাভাবে প্রণোদনা দেয়ার ফলে কৃষকরা তামাক চাষে লাভবান মনে করছেন।

সেক্ষেত্রে তারা অধিক মূলে তামাক বিক্রি করতে পারছেন এবং তারা লাভবান হচ্ছেন বিধায় তামাক চাষ অব্যাহত রেখেছেন। অবিলম্বে তেল, সার ও কৃষি উপকরণের দাম কমিয়ে কৃষককে ধানের কাঙ্ক্ষিত মূল্য দিয়ে ক্ষতিকর তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার দাবি সচেতন মহলের।