জিএম টিপু সুলতান | বার্তা সম্পাদক: প্রতিবছরের ন্যয় বর্ষা মৌসুমিতে আবারো তলিয়ে গেল যশোর মনিরামপুরের ভবদহ এলাকার নিন্ম অঞ্চলের মানুষ। ষাটির দশক ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের শাসনামলে সবুজবিপ্লব বাস্তবায়নের জন্য যশোরের মনিরামপুর কেশবপুর, অভয়নগর ও সদর উপজেলা এবং খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা উপজেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি লব নক্ততার হাত থেকে রক্ষার জন্য ২৭টি বিলের পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনে ভবদহ সুইসগেট নির্মানের প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছিলো। নেহালপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন টেকা-মুক্তেশ্বরী নদীর ওপর ভবদহ নামক স্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পানি উন্নয়ন বোর্ড ভবদহ সুইসগেট নির্মান করে ১৯৬২-৬৩ সালে। তখন এলাকায় ব্যাপক ফসল হতে থাকে। ১৯৮২-৮৩ সালে প্রথম সুইসগেটে জোয়ারের পানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নদীর তলদেশে পলিমাটি জমতে থাকে। তখন থেকে শুরু হয় ব্যাপক ফসলহানি। রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অর্থনৈতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তখন থেকে ভবদহের দুই পাড়ের মানুষের দুঃখ দুরদশা শুরু হতেগ থাকে যা আজও বিদ্যমান । পলি পড়ে এই অঞ্চলের মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী নাব্যতা হারিয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানির কাছে হেরে যাচ্ছে যশোরের ভবদহ অঞ্চলের মানুষ। খেতের ফসল ঘেরের মাছ বসত বাড়ি সবই কেড়ে নিয়েছে এই পানি।বর্তমানে ভবদহ সুইসগেটের ২১ কপাটের মধ্যে ১৮ কপাটই পলি জমে বন্ধ। স্থানীয়দের ধারনা অপরি কল্পিত সংস্কারের কারনে আমাদের আজ এই দুর্দশা। পক্ষান্তরে সরকারি অর্থ লোপাটের কারখান হিসাবে পরিনত হয়েছে ভবদহ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,পাঁচাকড়ি ভাটাডাঙ্গী বাড়েদা, ,বাজে কুলটিয়া মশিয়াহাটি, হাটগাছা সুন্দলির ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সমন্বায়ক কানু বিশ্বাস জানান পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিতে চলেছে তাই জনগনকে সঙ্গে নিয়ে নদীর তলদেশ সুকিয়ে উনমুক্ত ভাবে পরিকল্পিত সংস্কারের মাধ্যমে এর সমাধান করা সম্ভব।ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রনজিত বাওয়ালী জানান একটি মহল ভবদহে নানা প্রকার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে রুপান্ত্রিত করেছে,সকল বাধা অতিক্রম করে টি আর এম সিস্টেম চালু না করতে পারলে আমরা স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছি ও হবো। তাই আমাদের এখনই টি আর এম এর ব্যবস্থা করতে হবে। যশোরে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন,ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে টি আর এম প্রকল্পের বিকল্পনেই।
র্সবশেষে ভবদহরে চারপাশের ভুক্তভুগি সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের একটাই দাবি টেকানদী, শ্রী নদী হরি নদী, বিল বোকড়ও বিল কেদারিয়া অববাহকিায় আপ-ডাউনে যত ছোট ছোট চ্যানলে খাল বা নদী আছে দখল মুক্ত করে ঘেরের মালকিদরে পাড় বাধে পৃথক পৃথক ভাবে ভেড়ি বাধের মাধ্যমে যদি সংস্কার করা হয় তাহলে স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হবে।এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশেরে বাজটেরে সিংহ ভাগ টাকাও যদি বরাদ্দ করে তাহলেও এর কোন সমাধান আসবে না। তার স্থায়ী সমাধান করতে হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি সরজমনিে এসে জনগণের মতামতরে ভিত্তিতে নিজস্ব ভাবে দেখভাল করতে হব। মূল কথা হল ঘেরের মালকিদরে ভেড়ি বাধ ও নদীর ভেড়ি বাঁধ পৃথক ভাবে তৈরি করতে হবে। তাহলে চাষীরা ঐ ভেড়ি বাধের মাধ্যমে ইচ্ছা মত পানি ডুকাতে ও বের করতে পারব। ফলে স্থায়ী সমাধানের আশা করা যাবে বলে মনে করে এলাকাবাসী। ভবদহের চারপাশরে ভুক্তভুগি সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের একটাই দাবি টেকানদী, শ্রী নদী হরি নদী, বিল বোকড়ও বিল কেদারিয়া অববাহকিায় আপ -ডাউনে যত ছোট ছোট চ্যানলে খাল বা নদীআছে দখল মুক্ত করে ঘেরের মালিক দের পাড়ের বাধ পৃথক পৃথক ভাবে ভেড়ি বাধের মাধ্যমে যদি সংস্কার করা হয় তাহলে স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হবে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাজেটের সিংহ ভাগ টাকাও যদি বরাদ্দ করে তাহলওে এর কোন সমাধান আসবে না।