আমদানিকারকের দায়ের করা মামলায় পানামা পতাকাবাহী দুটি জাহাজ মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে পারছেনা। জাহাজ দুটিতে অর্ধলাখেরও বেশি মেট্রিকটন কয়লা আমদানি করা হয়েছিল।

এরমধ্যে গত ৭ জানুয়ারি বন্দরের হারবাড়িয়া-১২ তে নোঙ্গর করা ‘এমভি সানবাল্ক’ জাহাজে আসা ২৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিকটন কয়লা পুরোপুরি খালাস করা হয়েছে। অন্য জাহাজ ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ তে গত ২৫ জানুয়ারি বন্দরের সুন্দরি কোঠায় ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আনা হলেও খালাস প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি।

বাংলাদেশে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন এবং তাহমিদ ট্রেডার্স ক্ষতিপূরনের মামলা করলে জাহাজ দুটি এই সমস্যায় পড়ে। বিদেশি জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স কসমস শিপিং এজেন্টের খুলাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বুধবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার একটি বন্দর থেকে এই কয়লা বোঝাই করতে জাহাজ দুটি সেখানে যায়। কিন্তু এরমধ্যে জাহাজ মালিক ও জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির (চার্টারার) মধ্যে আভ্যন্তরীন দ্বন্ধের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় মাস পরে ওই বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই করে মোংলা বন্দরে আসে। এতে কয়লা আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়েন।

কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জয়েন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক আনিসুর রহমান বলেন, জাহাজ মালিক এবং জাহাজ ভাড়াকারী কোম্পানির দ্বন্ধের কারণে তার প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত কয়লা নির্ধারিত সময়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। এতে কয়লার গুনগত মান নষ্ট ও বাজার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় তার প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কারণে তারা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে তাহমিদ ট্রেডার্সের মোংলাস্থ কয়লা খালাসকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, একই ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ায় তাদের প্রতিষ্ঠানও মামলা করে। এ সংক্রান্ত জটিলতায় ‘এমভি ইউনিভার্সি প্রোসটার্টি’ জাহাজে কয়লা খালাস বন্ধ রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনা আসে। নির্দেশনায় নো অবজেকশ সার্টিফিকেটের (এনওসি) কথা উল্লেখ থাকায় আদালতের আদেশ পালন করতে হচ্ছে। একারণে বন্দরে অবস্থানরত কয়লা নিয়ে আসা বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দর ত্যাগ করতে পারছেনা বলেও জানান তিনি।