গত কয়েকদিন যাবত রাজধানীর গাজিপুর জেলায় বেশ কিছু দুর্ঘটনার অভিযোগ উঠেছে “তাকওয়া পরিবহন” এর বিরুদ্ধে। গত ১০ কার্যদিবসে প্রায় ৩ টির অধিক দুর্ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায় এই পরিবহন সংস্থাটির বিরুদ্ধে।

গত বছর যমুনা টেলিভিশনের একটি অনুসন্ধানে উঠে ভয়াবহ কিছু তথ্য যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল সাধারণ জনগনের কাছ থেকে।

“গাজীপুরের কোনাবাড়ী ও শ্রীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮ জন।

দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস চাপায় ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হয়। আহত অবস্থায় আরেক নারীকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। এ ঘটনায় ঘাতক তাকওয়া পরিবহন জব্দ করেছে করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জয়দেবপুর থেকে চন্দ্রাগামী তাকওয়া পরিবহনের দ্রুত গতির একটি মিনিবাস মহাসড়ক অতিক্রম করার সময় বুকল খাতুন ও করুনা খাতুনকে চাপা দেয়। তারা দুইজনেই বাইমাইল ফাইজা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় চাকরির ইন্টারভিউ শেষে বাসায় ফিরছিল। অন্যদিকে, সকালে উপজেলার শ্রীপুরে ট্রাক-যাত্রীবাহী লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ আটজন আহত হয়েছে।”

মুলধারার গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর আর কোনো কিছুই বাকি থাকেনা বুঝতে। মাঝখানে বিষয় টি নিয়ে কেউ না ভাবলেও গত কয়েকদিনের ঘটনার পর থেকেই একটি থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে গাজিপুরে।

এরই ধারাবাহিকতায়, আগামীকাল ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে রাস্তায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীগণ।

আগামীকাল দুপুর ১ঃ৩০ মিনিটে আন্দোলনটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সামনে সকল শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এর পোশাক পরিহিত অবস্থায় অবস্থান করবে। আন্দোলনটি কৃষি গবেষণা থেকে শুরু হয়ে প্রথমে গাজীপুর সদর থানায় গিয়ে তাকওয়া পরিবহনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করবে , এবং ওখান থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান করনে এবং তাদের দাবী গুলো তুলে ধরবে।জেলা প্রশাসক এর সাক্ষাৎ এর আগ পর্যন্ত তারা তাদের অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এখানে অংশ নেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, শহীদ স্মৃতি রানী বিলাশ মনি, চান্দনা স্কুল এন্ড কলেজ,গাজিপুর পুলিশ লাইন স্কুল সহ আরও সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আন্দোলনটিতে যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,
সুন্দরভাবে শৃঙ্খলার সাথে আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে। যারা নেতৃত্বে থাকবে তাদের সবাই সকলের উদ্দেশ্য বলবেন, কেউ যদি গাড়িতে হাত দিন তাহলে তা তার দায় আমরা নিবোনা এবং তাকে চিহ্নত করে ধরিয়ে দেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো আমরা কর্মসূচি শেষ হলেই চলে যাবো।