হলুদকে অনেক সময় ‘মিরাকল হার্ব’ বা অলৌকিক ভেষজ বলা হয়ে থাকে। রান্নায় হলুদ সাধারণত গুঁড়া মসলা আকারেই ব্যবহার করা হলেও কাঁচা হলুদও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। আর কাঁচা হলুদের উপকারিতাও মারাত্মক।
চলুন দেখে নিই কাঁচা হলুদের গুণাগুণগুলো কী কী:—
হলুদ খেলে ত্বকের রং ফর্সা হয়। হলুদের মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান কারকিউমিন। এটি কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। এটিকে জাদুকরি উপাদান বলা হয়। এটি ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে পারে।
ফুটবল বিশ্বকাপ: চীনের পরিচয়ে কাতার যেতে হবে তাইওয়ানবাসীকে
কারকিউমিন রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া দূর করে; ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে, ধীরে ধীরে ত্বকের রঙ ফর্সা হয়। তাছাড়া রক্ত পরিষ্কার করে, ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদের রস খেলেও সমান উপকারিতা পাওয়া যায়।
যারা কাঁচা হলুদ শুধু খেতে পারবেন না, তারা চিনি অথবা গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। কাঁচা হলুদ ত্বকের বয়স কমায়। তাই বিভিন্ন ক্রিমের প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা হয়। ত্বকের বিভিন্ন দাগ, রিঙ্কল ও সান ট্যান থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক ঘরেই তৈরি করে মুখে লাগানো যেতে পারে।
হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচায়। ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া, চালের গুঁড়া, টমেটো রস, কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আইপিএলের জন্য বছরে ৪৫ দিন কোনো খেলা রাখবে না আইসিসি!
এটি ত্বকের ফাইন লাইন্স এবং ঝুলে পড়া ত্বক স্বাভাবিক করতে, ত্বক ফর্সা করতে অত্যন্ত কার্যকরি। অথবা ১ টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে ১/৪ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করে সারা মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, এন্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখে ব্রণ কমায়। ব্রণ সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মাখুন ও খান, দেখবেন তাড়াতাড়ি উপকার পাচ্ছেন। কাঁচা হলুদ শুধু ব্রণই দূর করে না,
তার সাথে ব্রণের দাগ এবং লোমকূপ থেকে তেল বের হওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেয়। কাঁচা হলুদ বাটা, বেসন, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে একটি মাস্ক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
হলুদে আছে জীবাণুনাশক ও পরিষ্কারক গুণাগুণ। আর তাই খুশকি মোকাবেলায় এটি দারুণ কার্যকর। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা হলুদ বাটার সাধে সমপরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। তারপর তা মাথার ত্বকে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুব শিগগিরই খুশকি কমে যাবে।
কাঁচা হলুদ চুল পড়ার সমস্যা থেকেও আমাদের মুক্তি দেয়। চুল পড়া কমাতে নারকেল তেলের সাথে হলুদ বাটা মিশিয়ে ভালোভাবে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে পারেন। চাইলে দুধ, মধু এবং কাঁচা হলুদ বাটা ভালোভাবে পেস্ট করে ব্যবহার করতে পারেন।
আজ থেকেই অভ্যাস করুন, সকালে উঠে খালি পেটে বেশ খানিকটা করে কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খান। দেখবেন অনেক সমস্যা ও রোগের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।