খুলনার পাইকগাছায় একদিনের ব্যবধানে ২টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম।জানা যায়, বুধবার বিকালে পাইকগাছা উপজেলার ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের রেজাউল গাজী তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যাকে ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত জশোর আলী মোড়লের পুত্র জাহিদের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহের আয়োজন করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মমতাজ বেগম সরেজমিনে গিয়ে উক্ত বাল্য বিবাহ বন্ধ করে।
এ সময়  মেয়ের পিতা  রেজাউল গাজীকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা নেন। সঙ্গীয় ফোর্স ছিলেন উপজেলা আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন,আনসার কমান্ডার আবু হানিফ,ইউনিয়ন লিডার  ফয়সাল হোসেন, সদস্য জাহাঙ্গীর ও আব্দুস সামাদ গাজী।
গত সোমবার সন্ধায়ও পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নে বাসাখালী গ্রামের আজিজ গাজী সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে (১৩) পাইকগাছা পৌরসভার শিববাটি গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র রাজু আহমেদ (২২) এর সাথে বাল্য বিবাহের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফোর্স পাঠিয়ে মেয়ের পিতাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে মেয়ের পিতাকে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না এই মর্মেও মুচলেকা নেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন,বাল্য বিবাহের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। প্রতি মাসে একাধিক বাল্য বিবাহ বন্ধ করে ও কমছে না বাল্যবিবাহ।বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।