পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ১ নম্বর সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ছাত্রদলের পালটা হামলায় সেখানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৩০ জন আহত হয়।

এ হামলার জন্য জবি ছাত্রলীগকে দায়ী করে ইশরাক হোসেন বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সেখানে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী ইট-পাটকেল, রড, হকিস্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

আরোও পড়ুন: 

জবির চার সাংবাদিকের উপর হামলা

কুড়িগ্রাম পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ১৩ জন গ্রেফতার

শীতকালে জয়েন্টের ব্যথা যেভাবে দূর করবেন

ইশরাক হোসেন আরও জানান, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। পুলিশের সামনে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ছাত্রলীগকে থামানোর পরিবর্তে উলটো বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের অভিযোগ করেন তিনি। পরে সেখান থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান ইশরাক হোসেন।

সেখানে ইশরাক বলেন, যতই হামলা করুক না কেন, যেকোনো মূল্যে আমরা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সফল করব। দুপুর ১টার দিকে গোপীবাগ থেকে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন ইশরাক। জনসংযোগ সহযোগে মিছিলটি রাজধানীর ওয়ারী, বংশাল, রথখোলা মোড়, রায়সাহেব বাজার ও ইসলামপুর হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শেষ হয়। এ সময় পুরান ঢাকার ওয়ারী থানা, বংশাল ও কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তিনি সমাবেশ উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীদের হয়রানি না করতে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।